পেকুয়া প্রতিনিধি ::
কক্সবাজারের পেকুয়ায় অস্ত্রসহ লিটন বাহিনীর প্রধান লিটনসহ দু’জনকে আটক করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছিরাদিয়া এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে দূধর্ষ সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসমী বহুল আলোচিত লিটন বাহিনীর লিটন হেলালী লিটন (২৮), অপর একজন মগনামা ইউনিয়নের দারিয়াখালী এলাকার বদিউল আলমের ছেলে কৃষক আব্দু রহিম(২৪)। রবিবার(২৪ডিসেম¦র) দুপুর ১টার দিকে পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক(এসআই) শিমুল বড়–য়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ মগনামা ইউনিয়নের দারিয়াখালী এলাকা থেকে তাদের আটক করে। স্থানীয়রা জানান, কামাল উদ্দিন ও জসিম উদ্দিনের মালিকানাধীন লবন মাঠে কাজ করছিলেন আব্দু রহিম। এসময় লবন মাঠ দখলের জের ধরে লিটনের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে ওই এলাকায় অবস্থান নেয়্। তারা লবন মাঠ থেকে চাষীদের উচ্ছেদের চেষ্টা করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে লিটনকে ধাওয়া করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে লিটন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা পালানোর সময় পুলিশ লিটনকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়। এদিকে আটক কৃষক আব্দু রহিমের ভাই আব্দুল মন্নান অভিযোগ করেন, তার ভাই রহিম লবন মাঠে কাজ করছিলেন। একই এলাকায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জমি দখল করতে আসে পেকুয়ার লিটন বাহিনীর প্রধান লিটন ও তার অনুসারীরা। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পলানোর সময় আমার ভাইয়ের দিকে লক্ষ করে একটি আগ্নে অস্ত্র ছুড়ে ফেলে দেয়। এরই মধ্যে পুলিশ আমার ভাই রহিমকে সহ থানায় নিয়ে আসে। আমার ভাই নির্দোষ। ওই দিন অস্ত্র আইনে আব্দু রহিমকে আসামী করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে । ওই মামলায় লিটন বাহিনীর প্রধান চাঁদাবাজী ও একাধিক মামলা আসমী লিটনকে স্বাক্ষী দেখিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যা মর্তমান আইন শৃংখলার চরম অবনতি। এনিয়েদেখা দিয়েছে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আগ্নে অস্ত্র সহ দুজনকে আটক করা হলেও লিটনকে স্বাক্ষী হিসেবে থানা আনা হয়েছে। রহিমকে আদালতের মাধমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হবে।
পাঠকের মতামত: